ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং জিনিষটা আসলে কি?
ফ্রিল্যান্সিং শব্দের বাংলা অর্থ মুক্তজীবি। সকল ধরনের পেশাজীবিদের একটা আলাদা আলাদা নাম আছে, যেমন যারা সরকারী চাকুরী করে তারা সরকারী চাকুরীজিবী, যারা ব্যবসা করেন তারা ব্যবসায়ী, মাছ ধরে যারা জীবিকা নির্বাহ করেন তারা মৎস্যজীবি। সবধরনের পেশায় নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে জানতে হয় এবং সেই ধরনের কাজে কর্মক্ষম হতে হয়। মুক্তজীবি হচ্ছে
এই সকল ধরনের পেশার মানুষগুলো যারা নির্দিষ্ট কোন কাজের বা কোম্পানীর মধ্যে আবদ্ধ নেই অর্থাৎ কোন কাজ শেষ হলেও তাদের বাধ্যতামুলক সেই কাজ বা কোম্পানীতে সংযুক্ত থাকতে হয় না। তাদের শ্রম বা কাজের জন্য অফিসে যেতে হবে না, চাইলে ঘরে বসেই আরাম করে কাজ সম্পাদন করে দেয়া যাবে।
এই সকল ধরনের পেশার মানুষগুলো যারা নির্দিষ্ট কোন কাজের বা কোম্পানীর মধ্যে আবদ্ধ নেই অর্থাৎ কোন কাজ শেষ হলেও তাদের বাধ্যতামুলক সেই কাজ বা কোম্পানীতে সংযুক্ত থাকতে হয় না। তাদের শ্রম বা কাজের জন্য অফিসে যেতে হবে না, চাইলে ঘরে বসেই আরাম করে কাজ সম্পাদন করে দেয়া যাবে।
প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কাজগুলো পাবো কোথায়?
মাছ কিনতে হলে যেমন মাছের বাজারে যেতে হয় তেমনি ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য আপনাকে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ যেতে হবে। আপনারা অনেকেই হয়তো ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার, ইল্যান্স ইত্যাদির নাম শুনেছেন? এইগুলো হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং বাজার যেখানে আপনার জন্য ক্রেতারা বিভিন্ন কাজের বিজ্ঞাপণ দিবে এবং নিজের দরকার-পছন্দ অনুযায়ী নিয়োগ দিবে কাজের জন্য। অনেকদিন কাজ করার কারণে একটা সময় হয়তো আপনাকে এমনভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফরমে যেতে হবে না, ফিক্সড কোন ক্রেতার কাজ সবসময় করার কারণে। তবে নতুনদের জন্য কাজ খোঁজার উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটগুলো।
কিন্তু ওখানে গিয়ে একাউন্ট খুলে করবোটা কি?
আহ! এতক্ষন পর লাইনে আসছেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট এ আপনি শুধু একাউন্ট খুললেই কাজ হবে না। আপনাকে নির্দিষ্ট কোন একটি বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে তারপর ঐ কাজে এপ্লাই করতে হবে। আপনি যদি কাজ নাই জানেন তবে ক্রেতা কেন আপনাকে নিয়োগ দিবে?
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট এ কি কি কাজ পাওয়া যায়?
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায়, যার মধ্যে ক্রিয়েটিভ কাজ এবং যেইসব কাজ দুনিয়ার একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে সহজেই জমা দেয়া যায় এইরকম কাজের সংখ্যাই বেশী।
ক্রিয়েটিভ কাজ বলতে কি কি বুঝাচ্ছেন?
ক্রিয়েটিভ কাজ বলতে ওয়েব ডিজাইন-ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল এপ্লিকেশান ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান, আর্টিকেল লেখা সহ কম্পিউটার রিলেটেড কাজসমূহের আধিক্য সবচেয়ে বেশী।
কিন্তু অনেক বিজ্ঞাপণে দেখি ডাটা-এন্ট্রি করে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়!
আমার মতে ডাটা এন্ট্রি করাটা কোন যুতসই কিংবা ভবিষ্যতের জন্য কার্যকরী কোন স্কিল হিসেবে গন্য হয় না। ডাটা/ক্যাপচা এন্ট্রি করে যেই টাকা আয় করবেন, কোন জনবহুল রাস্তার মোড়ে থালা নিয়ে ভিক্ষে করলেও আরো ভাল টাকা আয় করতে পারবেন। কিছু প্রতারক প্রতিষ্ঠান নতুন সহজ-সরল মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং কলা দেখিয়ে এইসব অকাজের ডাটা এন্ট্রি ধোয়া তুলে টাকা আত্মসাৎ করে।
তাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আমার এখন করনীয় কি?
যদি সত্যিকারের ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চান তবে আপনার উচিৎ ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান, আর্টিকেল লেখা, ব্লগিং, প্রোগ্রামিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সহ বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ বিষয়গুলোর মধ্যে যেকোন একটি বেচে নিয়ে সেটির উপর স্কিল ডেভেলপ করা। শেখা শেষ হয়ে গেলে আস্তে আস্তে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটগুলোতে চেষ্টা করা।
এইসব ক্রিয়েটিভ কাজগুলো কোথায় শিখব?
ইন্টারনেট এ এই সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক টিউটোরিয়াল, আর্টিকেল, বই আছে। সার্চ করে আস্তে আস্তে শিখতে পারেন নতুনা কোন দক্ষ কোন প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে পারেন সাহায্যের জন্য।
By Saharior Ridoy
No comments:
Post a Comment